নুরুজ্জামান সরকার, স্টাফ রিপোর্টার: পৌষ-মাঘ মাস নিয়ে শীতের ব্যাপ্তিকাল। আর ইংরেজি মাসের হিসাবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত শীতকাল।এসময় হাড়কাঁপুনি শীতে মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। কিন্তু শীতের এই ভরা মৌসুমে রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে গত দুই ধরে রাতে শীত থাকলেও সকালে তুলনামূলক শীতের দেখা মিলছে না।

বুধবার (২৯শে ডিসেম্বর, ২০২১ খ্রি) তৃতীয় দিনেও নেই শীত। রয়েছে হিমেল হাওয়া ও মেঘলা আকাশ। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে থেমে থেমে। নেই সূর্যের দেখা। এই অবস্থায় শীতে কাঁপছে সাধারণ মানুষ। এই হিমেল হাওয়া এবং শীতে ঘর থেকে বেরোতে পারছে না সাধারণ মানুষ এতে অনেকেই শীতপোশাক না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছে।

তুলনামূলক শীত না থাকায় শীতের ভরা মৌসুমেও বিগত বছরের চেয়ে তাপমাত্রা একটু বেশি বলে জানিয়েছে রাজারহাট আবহাওয়া অফিস কর্তৃপক্ষ। রাজারহাট আবহাওয়া অফিস জানায়, অনান্যবার পৌষের এই সময়টিতে কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা ১০-১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পরিলক্ষিত হলেও এবার ২৯ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বুধবার সকাল থেকে চারদিকে মেঘলা আকাশ পরিলক্ষিত হচ্ছে। এসময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে দেখা গেছে। শীত না থাকলেও হিমেল হাওয়ায় দুর্ভোগ নিয়ে কর্মের সন্ধানে বের হয়েছেন দিনমজুর, খেটে-খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষ। রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে আকাশ মেঘলা এবং থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

যা আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে পৌষের এই সময়টিতে শীত বেশি থাকে এবং তাপমাত্রা কমে যায়। ভোগডাঙ্গা এলাকার দিনমজুর জলিল মিয়া জানান, তিনি কয়েকদিন ধরে সর্দি কাশিতে ভুগছিলেন। আজ কিছুটা সুস্থ অনুভব করায় কাজের সন্ধানে ঘর থেকে বের হয়েছেন। কিন্তু আকাশে মেঘ দেখে কাজ না মেলার আশঙ্কা তার।

এদিকে কুড়িগ্রাম জেলার চর যাত্রাপুর এলাকায় জেলা শহরগামী ঘোড়ার গাড়িচালক আয়নাল মোল্লা জানান, তিনি জেলা শহরে যাচ্ছেন ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে। তবে শীত না থাকলেও শিরশির বাতাসে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

কিন্তু আকাশ মেঘলা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পরেছেন তিনি। মুষলধারে বৃষ্টি হলে ভাড়া না মেলার আশঙ্কা তার। পৌষের এই সময়ে আকাশে এমন মেঘ ও বৃষ্টি কখনো দেখেননি বলে জানান তিনি।